নীল রায়
প্রধানমন্ত্রীর জোড়া জনসভায় এসপিজি নিরাপত্তার কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান শিলিগুড়িতে নামতে বিলম্ব হয়। সেই ঘটনা নিয়েও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতে ছাড়লেন না তিনি। এরপরেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে কিভাবে রাজনৈতিক কটাক্ষ করতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী! এবং তা রাজনৈতিক সৌজন্যের কতটা পরিপন্থী। বুধবার শিলিগুড়ির জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আক্রমণে যে তৃণমূল নেতৃত্ব দিশেহারা তাও বোঝা গেল মমতার বক্তব্যে। এদিন দিনহাটার সভায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা উল্লেখ না করে তিনি বলেন, “আগে আসতে পারতাম। কিন্তু বাবু প্রধানমন্ত্রী! বড় নেতা! শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় যাচ্ছিলেন! আমাদের প্লেন আকাশে দাঁড়িয়ে রইল ।“ চাপে থাকা মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “ও মা! বাগডোগরায় নামতে তখন পাঁচ মিনিট বাকি। মেসেজ এল ভিভিআইপি মুভমেন্টের জন্য বিমানবন্দর বন্ধ। ব্যস! ৪০ মিনিট আমরা বসে রইলাম।” মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, মোদীর বিমান যখন উড়ছিল, তখন তিনি আকাশে ছিলেন। নামতে দেওয়া হয়নি তাঁদের বিমান। মমতা বলেন, “পাবলিক মিটিং করে বিতর্কে আসুন। কোয়েশ্চেন করুন। রিপ্লাই দেব।” তিনি আরও বলেন, “ভারতে একজন মানুষের জন্যই নিরাপত্তা আছে। আর কারও নিরাপত্তা নেই। একটা মিটিংকে কেন্দ্র করে আকাশ বন্ধ, রাস্তা বন্ধ, সব বন্ধ।”