Breaking News
Home / TRENDING / অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব : ঘেরাও বিষ্ণুপুর থানা

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব : ঘেরাও বিষ্ণুপুর থানা

চ্যানেল হিন্দুস্তান ব্যুরো।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংসদ ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে উত্তপ্ত হল। দক্ষিণ ২৪ পরগনা সাতগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিষ্ণুপুর-২ নম্বর ব্লকের বিবিরহাটে এই নিয়ে এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বিষ্ণুপুর থানার সামনে তৃণমূল কংগ্রেসের মূল সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা এসে এলাকার যুব নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান-বিক্ষোভ করে। পাশাপাশি ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের অভিযোগ, বুধবার রাতে আমতলা দু নম্বর ষষ্ঠীতলা কাছে আইএনটিটিইউসি এক সভা ছিল। আর সেই সভায়তেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ ধন্য যুব নেতারা পুরোনো তৃণমূল কর্মীদের হামলা চালায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ রাতেই তাদের কর্মীদের বাড়িতে হানা দিয়ে মোট ৫ জনকে আটক করে। আদি তৃণমূলীদের অভিযোগ, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নেতৃত্বাধীন যুব বাহিনীর দাপটে তাঁরা বিপর্যস্ত। যুবনেতাদের কথাতেই পুলিশ এখন এলাকায় আদি তৃণমূল কর্মী ও নেতাদের নানা মিথ্যে কেস দিয়ে হেনস্তা করছে।

আজ সকালে আক্রান্ত গোষ্ঠীর নেতাদের বিষ্ণুপুর থানায় আসতে বলা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে এবং আটক পাঁচ জনের পরিবারকেও হেনস্থা করা হয়। বিষ্ণুপুর থানায় তাদেরকে বসিয়ে রাখা হয়। আটক ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়ার কথা দিয়েও সময় পরিবর্তন করতে থাকেন। কিন্তু বেলা দুটো বেঁধে যাবার পরও যখন তাঁর স্বজনদের ছাড়ছে না দেখে পরিবারের লোকজন সমস্ত বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানায়। জানানোর পরে আদি তৃণমূলের অন্যান্য কমিটি কর্মী-সমর্থকরা থানার সামনে এসে ভিড় জমায় ও ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। আদি তৃণমূল কর্মীদের পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, পুলিশ এইভাবে তাদেরকে বিভিন্নরকমভাবে হেনস্তা করছে। সেই জন্য এই অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়েছে। আটক হওয়া পাঁচজনের পরিবারের লোকজন জানতে পারে যে তাদের পরিবারের সদস্যদের মাদক দ্রব্য সেবনের কেস দিয়ে আলিপুর কোর্টে তোলা হবে। আদৌ তারা সেই দোষে দোষী নয়। আদি বনাম যুবর ঝামেলার ঘটনাকে কীভাবে মাদক সেবনের পরিণত হতে পারে, তা বুঝে উঠতে পারছে না কেউ। তারা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি মিটিংয়ে গিয়েছিলেন। তারপরে কেন এই ঘটনার শিকার হতে হল তাদের পরিবার পরিজনদের?

Spread the love

Check Also

চোরেদের মন্ত্রীসভা… কেন বলেছিলেন বাঙালিয়ানার প্রতীক

ডঃ অরিন্দম বিশ্বাস : আজ বাংলার এবং বাঙালির রাজনীতির এক মহিরুহ চলে গেলেন। শ্রী বুদ্ধদেব …

আদবানি-সখ্যে সংকোচহীন ছিলেন বুদ্ধ

জয়ন্ত ঘোষাল : লালকৃষ্ণ আদবানির বাড়িতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মধ্যাহ্ন ভোজে আসবেন। বাঙালি অতিথির আপ্যায়নে আদবানি-জায়া …

নির্মলার কোনও অর্থনৈতিক চিন্তা-ভাবনা নেই

সুমন ভট্টাচার্য এবারের বাজেটটা না গরিবের না মধ্যবিত্তের না ব্যবসায়ীদের কাউকে খুশি করতে পারলো। দেখে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *