নীল রায়
“আগামী দিনে অসম জয় করব৷” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন দাবি নিয়ে বেজায় কটাক্ষ করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে ৷ যে রাজ্যে দলের একটি পঞ্চায়েত প্রতিনিধিও নেই, সেখানে মমতা কিসের ভিত্তিতে এমন দাবি করছেন? আজ অসমের ধুবুড়ির জনসভা থেকেও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করলেন তৃণমূল নেত্রী ৷ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অসমে ১০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ লড়াই কঠিন জেনেই এদিনের প্রচারসভা থেকে অসমবাসীর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করেন, ‘‘কংগ্রেস-বিজেপিকে দেখেছেন, একবার তৃণমূলকে ভোট দিয়ে দেখুন৷ তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে দু’টাকা কিলো চাল দেয়৷ বিনা পয়সায় চিকিৎসা পরিষেবা দেয়৷ অসম সরকার কী করে? শুধু বড় বড় কথা বলে৷’’ সারধা কাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে পালটা আক্রমণ শানালেন বিজেপি শাসিত অসমের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে৷ শুক্রবার অসমের মাটিতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘অসম-বাংলার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের৷ অসম-বাংলা কেউ আলাদা নয়৷ আমরা আগামী দিনে অসম জয় করব৷’’ এনআরসি প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, ‘‘এনআরসি খসড়ায় ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ দিয়েছে ওরা৷ ২২ লক্ষ হিন্দুর নাম বাদ দিয়েছে৷ মুসলমান, গোর্খাদের নাম বাদ দিয়েছে৷ এনআরসির খসড়া দেখে আমার বুকে ধাক্কা লেগেছিল৷ সবার আগে আমাদের প্রতিনিধিরা অসমে এসেছিলেন৷ ওঁদের এয়ারপোর্টে আক্রমণ করা হয়৷ ওঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়৷ আমি যাতে অসমে ঢুকতে না পারি সে কারণে আমার বিরুদ্ধেও মামলা হয়৷’’ মমতার আক্রমণ, ‘‘তৃণমূলকে ভয় দেখিয়ে কেনা যায় না৷ ধমকে- চমকে কেনা যায় না৷ তৃণমূল মা-আম্মার দল৷ আমি ভয় পাই না৷ তৃণমূলকে দুর্বল ভাবার কোনও কারণ নেই৷’’ আলিপুরদু়ারের নির্বাচনী প্রচারে এসে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন, “ক্ষমতায় ফিরলে বাংলাতেও এনআরসি হবে৷” এদিন একই ভাষায় বিজেপির সেই ঘোষণার সমালোচনা করেন তিনি৷ জানান, ‘‘পাঁচ বছরে দেশটাকে ধ্বংস করেছে বিজেপি৷ মোদিবাবু এক্সপায়রি প্রাইমিনিস্টার৷’’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, “ডিটেনশন ক্যাম্পে শিশু ও মহিলাদের আটকে রেখে অত্যাচার চালাচ্ছে অসমের বিজেপি সরকার৷ উদ্বাস্তুদের ভুল বোঝানো হচ্ছে৷ নাগরিকত্ব বিলের নামে দেশ ছাড়া করার পরিকল্পনা করছে।”